সোনার তরী কবিতার
MCQ প্রশ্ন ও উত্তর (বহুনির্বাচনি
প্রশ্ন)
১.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক)
১৮২৮
খ)
১৮৩৮
গ)
১৮৬১
ঘ)
১৮৬৭
সঠিক
উত্তরঃ গ) ১৮৬১
ব্যাখ্যাঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে ৭মে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪১ সালের
৭ই আগষ্ট তার জীবনাবসান হয়।
২.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বনফুল’ কাব্যগ্রন্থটি কবির কত বছর বয়সে প্রকাশিত
হয়?
ক)
পনেরো
খ)
আঠারো
গ)
বিশ
ঘ)
বাইশ
সঠিক
উত্তরঃ ক) পনেরো
ব্যাখ্যাঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর বনফুল কাব্যটি প্রকাশিত হয়। ‘মানসী’,
‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’,
‘ক্ষণিকা’, ‘বলাকা পুনশ্চ’,
‘জন্মদিনে’, ‘শেষ লেখা’
তাঁর কয়েকটি শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থের নাম ।
৩.
‘ধান কাটা হলো সারা’ চরণটির মাধ্যমে কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে?
ক)
ফসলের কাজ সম্পন্ন হওয়া
খ)
কর্মের পরিণতি
গ)
কর্মময় জীবন
ঘ)
ফসল তোলার তাড়া
সঠিক
উত্তরঃ খ) কর্মের পরিণতি
ব্যাখ্যাঃ
মানুষের জীবন কর্মময়। তার কোনো কোনো কর্ম মহৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মহৎ কর্মগুলোই
সোনার তরীতে স্থান পায়। কবিতার কবি তার কর্ম করার পর এর পরিণতি দেখার অপেক্ষায় আছেন।
৪.
পরপারের গ্রামখানি কীরূপ?
ক)
আঁকা ছবির মতো
খ)
অস্পষ্ট ও অপূর্ণ
গ)
ধোঁয়াশার মতো
ঘ)
কালো ও বিবর্ণ
সঠিক
উত্তরঃ ক) আঁকা ছবির মতো
ব্যাখ্যাঃ
পরপারের গ্রামখানি আঁকা ছবির মতো। কবি যখন ধান কাটতে ছোট একটি খেতে যান তখন আকাশে ঘন
মেঘ গর্জন করছিল। ঘন মেঘের কারণে ওপারের গ্রামটি কবির নিকট গাছের ছায়ায় কালো রঙে
মাখানো/আঁকা মনে হচ্ছিল।
৫.
‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি কীভাবে চলে যায়?
ক)
চেঁচাতে চেঁচাতে
খ)
কান্না করে
গ)
ভরা পালে
ঘ)
এদিক ওদিক তাকায়ে
সঠিক
উত্তরঃ গ) ভরা পালে
ব্যাখ্যাঃ
‘সোনার তরী’ কবিতায় মাঝি ভরা পালে চলে যায়। মাঝি
ভরা পালে কোনোদিক না, তাকিয়েই চলে যায়। তার নৌকার দুইপাশে ঢেউ ভেঙে পড়ে।
৬.
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা’— এখানে ‘কূলে’
শব্দটি কীসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?
ক)
ইহজগৎ
খ)
নদীর কুল
গ)
ধানখেত
ঘ)
পরপর
সঠিক
উত্তরঃ ক) ইহজগৎ
ব্যাখ্যাঃ
‘সোনার তরী’ কবিতায় কূল বলতে ইহজগত এবং পরপার বলতে
মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বোঝানো হয়েছে।
৭.
‘ভারা’
কী?
ক)
পাখির বাসা
খ)
ধান রাখার পাত্র
গ)
নৌকার নিচের খালি জায়গা
ঘ)
মেঘের গর্জন
সঠিক
উত্তরঃ খ) ধান রাখার পাত্র
ব্যাখ্যাঃ
‘ভারা’ অর্থ ধান রাখার পাত্র। কবি কবিতায়
‘রাশি রাশি ভারা ভারা বলতে বিপুল পরিমাণকে বুঝিয়েছেন।
৮.
‘যাহা লয়ে ছিনু ভুলে’- এ কথাটার মধ্যে কী প্রচ্ছন্ন রয়েছে?
ক)
অনুশোচনা
খ)
আক্ষেপ
গ)
আত্মসমালোচনা
ঘ)
শূন্যতাবোধ
সঠিক
উত্তরঃ ঘ) শূন্যতাবোধ
ব্যাখ্যাঃ
প্রশ্নোক্ত কথাটির মধ্যে কবির শূন্যতাবোধ প্রচ্ছন্ন রয়েছে। কৃষক এতদিন কষ্টে ফসল ফলিয়ে,
তা সোনার তরীতে তুলে দিয়ে সে কর্মহীন হয়ে শূন্যতা বোধে ভুগছে। একজন মানুষ যখন কর্ম
হারায় তখনই সে সর্বাপেক্ষা শূন্যতা বোধ করে।
৯.
‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক কোন মাসে ধান কেটেছিলেন?
ক)
জৈষ্ঠ
খ)
আষাঢ়
গ)
শ্রাবণ
ঘ)
ভাদ্র
সঠিক
উত্তরঃ গ) শ্রাবণ
ব্যাখ্যাঃ
‘সোনার তরী’ কবিতায় কৃষক শ্রাবণ মাসে ধান কেটেছিল।
বিষয়টি কবিতার শেষ দিকে প্রমাণিত হয়েছে। কবি শ্রাবণগগনের কথা বলেছেন।
১০.
‘সোনার তরী’ কবিতায় কবির আক্ষেপ নিচের কোন পদ্ধতিটিতে
প্রকাশ পেয়েছে?
ক)
আমারি সোনার ধনে গিয়েছে ভরি
খ)
এখন আমারে লহো করুণা করে
গ)
গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা
ঘ)
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী
সঠিক
উত্তরঃ ঘ) যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী
ব্যাখ্যাঃ
কৃষক, সোনার ধান, সোনার তরী এসব রুপকের মাধ্যমে কবি মানবজীবনের একটি গভীর দর্শনকে তুলে
ধরেছেন। কবি বোঝাতে চেয়েছেন সোনার তরী নামক মহাকালের শিল্পলোকে মানুষের সোনার ধনরূপী
মহৎ কর্ম ও সৃষ্টিকর্মের স্থান হয়, ব্যক্তিমানুষের স্থান হয় না। আরএ কারণেই কবি আক্ষেপ
করে বলেছেন যাহা ছিল নিয়ে গেলে সেনার তরী।
১১.
‘সোনার তরী’ কবিতায় ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’-কথাটিতে
মাঝির কেমন মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে?
ক)
অনাগ্রহ
খ)
নিবেদন
গ)
স্মৃতিচারণ
ঘ)
হতাশা
সঠিক
উত্তরঃ ক) অনাগ্রহ
ব্যাখ্যাঃ
মাঝিরূপ মহাকাল মহৎকর্মের বাহক। সেখানে কর্ম ষ্টার ঠাঁই হয় না। অর্থাৎ মাঝি তার তরীতে
কবিকে নিতে অনগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
১২.
‘সোনারতরী’ কবিতায় ‘বাঁকা জল’
মূলত কীসের প্রতীক?
ক)
কালস্রোতের
খ)
কর্মফলের
গ)
মহাকালের
ঘ)
আশঙ্কার
সঠিক
উত্তরঃ ক) কালস্রোতের
ব্যাখ্যাঃ
‘সোনার তরী’ কবিতায় ‘বাকা জল’
বলতে অনন্ত কালস্রোতকে বোঝানো হয়েছে। ‘সোনার তরী’ কবিতায় ছোট্ট একটি ক্ষেতে কৃষক ধান
কাটছিলেন, যার চারপাশে ‘বাঁকা জল’ খেলা করছিল। আসলে কবি বোঝাতে চেয়েছেন
মানুষের সৃষ্টিকর্মগুলো নিয়ত কালস্রোতে বিলীন হওয়ার হুমকিতে থাকে। যেমন- কবিতায়
দ্বীপসদৃশ ছোট খেতটি বাকা জলে বিলীন হওয়ার জন্য অপেক্ষমান যা কৃষকের মনে ঘনঘোর আশঙ্কা
তৈরি করেছে।
১৩.
‘সোনার তরী’ কবিতায় বিদেশ কীসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত
হয়েছে?
ক)
মৃত্যুলোক
খ)
ভিন্ন দেশ
গ)
চিরায়ত শিল্পলোক
ঘ)
শিল্পীদের দেশ
সঠিক
উত্তরঃ গ) চিরায়ত শিল্পলোক
ব্যাখ্যাঃ
‘সোনার তরী’ কবিতায় বিদেশ’
শব্দটি চিরায়ত শিল্পলোকের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। কৃষক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়
ছোটোখেতে কাটা ধান নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় একজন মাঝি নিরাসক্তভাবে নদীতে নৌকা
বেয়ে যাচ্ছিল। কৃষকের মনে হলো সে হয়তো কোনো বিদেশ যাচ্ছে।
১৪.
বাঁকা জল খেলা করার মধ্য দিয়ে নদীর জলের কোন দিকটি উন্মোচিত হয়েছে?
ক)
হিংস্রতা
খ)
উদ্দামতা
গ)
শাঙ্করূপ
ঘ)
প্রবাহমানতা
সঠিক
উত্তরঃ খ) উদ্দামতা
ব্যাখ্যাঃ
‘সোনার তরী’ কবিতায় কবি বর্ষাকালের চিত্র এঁকেছেন।
শ্রাবণের বর্ষার নদীগুলো উদ্দাম থাকে। প্রোতে থাকে প্রচণ্ডতা। নদীর পানি থাকে কানায়
কানায় পূর্ণ। শ্রাবণ মাসের বর্ষায় নদীর সেই উদ্দামতা বোঝাতে কবি থাকা জল করিছে খেলা’
ত্রিকল্পটি ব্যবহার করেছেন।